শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন যে দোয়া পড়লে মৃত্যুর আযাব হবে পিপড়ার কামড়ের সমান

একজন মুসলমানের জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ আত্নাকে বলেন, “বেরোও।” সে বলে, “না আমি স্বেচ্ছায় বেরোব না।”

আল্লাহ বলেন, “অনিচ্ছায় হলেও, বেরোও।” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন মু’মিন-বিশ্বাসী বান্দার রূহ বেরোয় তখন ওর সাথে দু’জন ফেরেশতা দেখা (অর্থাৎ তা গ্রহণ) করে এবং তা নিয়ে দু’জনই ঊর্ধ্বে আরোহন করে। তারপর এর সুগন্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি পবিত্র রূহের আগমন ঘটেছে। হে রূহ! তোমার প্রতি এবং যে দেহ তুমি আবাদ করছিলে, তার প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।” অনন্তর একজন ফেরেশতা তাকে নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে চলে যায়।

তারপর তিনি বলেন, “তাকে শেষ সময়ের (অর্থাৎ কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত) জন্য নিয়ে যাও।” পক্ষান্তরে কাফিরের আত্না যখন বেরোয়, তখন এর দুর্গন্ধ ও অপবিত্রতার কথা উল্লেখ করা হয়। আসমানবাসিগণ বলে, “পৃথিবী থেকে একটি অপবিত্র রূহের আগমণ ঘটেছে।” আর এর সম্বন্ধে বলা হয়-“শেষ সময় পর্যন্ত রাখবার জন্য তাকে নিয়ে যাও।” হযরত আজরাঈল (আ) যখন জান কবজ করতে আসবেন, তখন মৃত্যু পূর্ব মুহুর্তে কষ্ট হবেই। তবে মহান আল্লাহ তায়ালার মমিন বান্দারা সেই কষ্টটা কম পেয়ে থাকেন। আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলেই জানি। দোয়াটি নিম্নরূপঃ

আয়াতুল কুরসী

ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺎَﻟ َ ﻮُﻫ ﺎَّﻟِﺇ َ ﻪَﻟِﺇ ُّ ﻲَﺤْﻟﺍ ُ ﻡﻮُّﻴَﻘْﻟﺍ

ﺎَﻟ ٌ ﺔَﻨِﺳ ُ ﻩُﺬُﺧْﺄَﺗ

ﺎَﻟَﻭ ُ ﻪَﻟ ٌ ﻡْﻮَﻧ

ﺎَﻣ ﻲِﻓ ِ ﺕﺍَﻭﺎَﻤَّﺴﻟﺍ ﺎَﻣَﻭ ﻲِﻓ ْ ﻦَﻣ ِ ﺽْﺭَﺄْﻟﺍ ﺍَﺫ ﻱِﺬَّﻟﺍ

ﻳَﺸْﻔَﻊُ ُ ﻩَﺪْﻨِﻋ

ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﺎَّﻟِﺇ ُ ﻢَﻠْﻌَﻳ ﺎَﻣ ْ ﻢِﻬﻳِﺪْﻳَﺃ َ ﻦْﻴَﺑ ْ ﻢُﻬَﻔْﻠَﺧ ﺎَﻣَﻭ ﺎَﻟَﻭ

ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ

ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ِ ﻪِﻤْﻠِﻋ ْ ﻦِﻣ ﺎَّﻟِﺇ َ ﺀﺎَﺷ ﺎَﻤِﺑ َ ﻊِﺳَﻭ ُ ﻪُّﻴِﺳْﺮُﻛ

ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ

ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺎَﻟَﻭ ﺎَﻤُﻬُﻈْﻔِﺣ ُ ﻩُﺩﻮُﺌَﻳ َ ﻮُﻫَﻭ ُّ ﻲِﻠَﻌْﻟﺍ

ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ

উচ্চারণঃ-

আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম। (সূরা বাকারঃ ২৫৫)

আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলতঃ-

১. আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চারদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।

২. আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।

৩. আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।

৪. ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলো মৃত্য। এবং মৃত্যু আযাব এতই হালকা হয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়ের সমান।

৫. ওজুর পর আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।

(সহীহ হাদিস)

এই বিভাগের আরো খবর